রোহিঙ্গারাও এখন বোটের মালিক : উর্দ্দেশ্য সাগরপথে মানবপাচার

টেকনাফ বাহারছড়া সহ উপকূলীয় এলাকায় মানব পাচারে জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে রোহিঙ্গারা । অনেকে একাই কিনেছেন কাঠের বোট, আবার অনেকে শেয়ারে কিনেছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশলে সাগর পথে মালেশিয়া চলে গেছে।

রোহিঙ্গারা বাংলদেশকে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার একটা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে এমন ধারনা করা হচ্ছে। টেকনাফ ও উখিয়া থানায় প্রশাসনিক বিভিন্ন চেকপোস্ট থাকলেও রোহিঙ্গারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে ও কৌশলে যাতায়াত করতে পারছে।তবে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করছে আকাশ ও সমুদ্রপথকে। যার জন্য দরকার বাংলাদেশের কিছু স্বার্থ লোভী মানুষ ।

রোহিঙ্গারা টাকার লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশী জেলেদের নৌকা বা বোট ক্রয় করতে সক্ষম হচ্ছে।বর্তমানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস করার স্থান হচ্ছে উখিয়া কুতুপালং, পালংখালী, বাহারছড়া শামলাপুর ও টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্প। এই সব ক্যাম্পের মধ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সাথে মানবপাচারকারী চক্রের একটি যুগ সুত্র রয়েছে। টেকনাফ ও উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা বাহারছড়া, জালিয়াপালং এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিকে অগ্রীম টাকা দিয়ে নৌকা তৈরি করে রোহিঙ্গারা।

এমনও অভিযোগ রয়েছে, এদেশীয় কিছু স্বার্থপর লোভী জেলে অংশীদারও হয়েছেন এবং অংশীদার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ব্যবসা করছে । এরমধ্যে রয়েছে শামলাপুর, শীলখালি, জাহাজপুরা ও মাদার বনিয়া ঘাট। তার মধ্যে দুইটি ঘাট অন্যতম শামলাপুর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি নৌকা রোহিঙ্গাদের অধীনে রয়েছে। নৌকার ঘাটের সভাপতি ও নেতাকর্মীদের মাসিক মাসোহারা দিচ্ছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। তাই চুপ রয়েছে ঘাটের নেতাকর্মীরা।

বাহারছড়া এবং জালিয়া পালং ঘাটে বর্তমানে যেসব নৌকা তৈরি করা হচ্ছে তা ভোটের চাইতে বড়। একটি নৌকাতে ৫০ থেকে ৬০ জন মানুষ সহজে সমুদ্র পাড়ি দিতে সক্ষম হবে। তাই রোহিঙ্গারা সহজ পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে ছোট নৌকা। সহজ পয়েন্টে হিসেবে ব্যবহার করছে জাহাজপুরা, শীলখালি, শামলাপুর, মাদারবনিয়া, মনখালী ঘাট। এইসব ঘাটে রোহিঙ্গারা নৌকা তৈরি করছে বলেও জানা যায়।

গোপন সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গারা ভোর রাতে নৌকায় মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য জেলেদের সাথে নৌকার ঘাটে যায়। বাংলাদেশের সাগর সীমা ছোট হওয়ায় দিনের আলো আসতে আসতে সীমানা অতিক্রম করে।পাচারকৃত কিছু রোহিঙ্গা আটক হলেও অধিকাংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে।

দালালদের আইনের আওতায় আনতে হলে উক্ত ঘাটে রোহিঙ্গাদের নৌকা তৈরি ও ব্যবসা বন্ধ করা দরকার বলে মনে করেন স্থানীয় জনগণ। বাহারছড়া ও জালিয়াপালং কোস্ট গার্ড বিজিবি থাকলেও তাদের নাগালের ভিতরে রোহিঙ্গারা ঠিকই নৌকা তৈরি করছে বলে অভিযোগ। নিউজ কক্সবাজার